শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ অনলাইন:: এক বছর না হতেই আইসিসির আরেকটি টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মহারণের ঝাঁজ। এক লাখ আসনের আইকনিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ উৎসব, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্লকবাস্টার ম্যাচ দেখতে তর সইছে না বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
অস্ট্রেলিয়ান শহরে দুই দেশের ভক্তদের জোয়ার নেমেছে। মেলবোর্ন যেন উৎসবের নগরী। এমনটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল এই ম্যাচের টিকিট ছাড়তেই। চোখের নিমিষে শেষ হয়ে যায় টিকিট, এমনকি দাঁড়িয়ে খেলা দেখারও টিকিট নেই মিনিটখানেকের মধ্যে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণ নিয়ে তো এমন চাহিদা থাকা স্বাভাবিক।
এমনকি মেলবোর্নে প্রিয় খেলোয়াড়দের অনুশীলনও দেখতে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্নের গ্যালারিতে। হয়তো নির্ঘুম রাত কেটেছে এই সমর্থকদের। তাদের অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।
আগামী বছরের এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজন হবে কি হবে না, এ নিয়ে মাঠের বাইরে বির্তক চললেও সেটা একপাশে সরিয়ে ব্লকবাস্টার ম্যাচেই চোখ রোহিত শর্মা ও বাবর আজমের।
গত বছর এই পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারের ধাক্কা বেশ জোরেশোরে লেগেছিল ভারতীয় ক্যাম্পে। বিদায় নিতে হয় সেমিফাইনাল না খেলেই। বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচের জয়খরা কাটায় সেবার পাকিস্তান। এশিয়া কাপে ভারত অবশ্য সেই হারের প্রতিশোধ নেয়, তবে সুপার ফোরে জেতে পাকিস্তান।
দুই দলের শক্তির জায়গা ভিন্ন। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে পাকিস্তানের আগ্রাসী বোলিংয়ের। শাহীন শাহ আফ্রিদি দলে ফিরেছেন। এই পেসারের ফেরা উজ্জীবিত করছে পুরো পাকিস্তান দলকে। ভারতের টপ অর্ডারে আছে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। আফ্রিদির সঙ্গে হারিস রউফ ও নাসিম শাহের বোলিং অ্যাটাক সামাল দিতে হবে তাদের।
অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগে আবহাওয়ার চোখ রাঙানি ছিল। আশার কথা, গতকাল রাত থেকে কোনও বৃষ্টির আভাস পাওয়া যায়নি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, পুরো ম্যাচই উপভোগ করা যাবে।
বৃষ্টির আভাস নেই, কিন্তু নিশ্চিতভাবে দুই দল চাপে। হাইভোল্টেজ ম্যাচ বলে কথা। ভারতের অধিনায়ক রোহিত বলছেন ভিন্ন কথা, ‘দেখুন, আমি চাপ শব্দ ব্যবহার করতে চাই না। কারণ চাপ আপেক্ষিক। এটা কখনও পাল্টাবে না। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চাই। এইবার পাকিস্তান খুব চ্যালেঞ্জিং দল। ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যতগুলো পাকিস্তানি দলকে খেলেছি আমি, সবাই ছিল ভালো দল।’
পরিস্থিতি যাই হোক বাবর আজম দলের কাছে শতভাগ প্রচেষ্টা দেখতে চান, ‘একজন খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই ম্যাচটা হোক। আবহাওয়া তো আমাদের হাতে নেই। পরিস্থিতি যাই হোক, আমরা প্রস্তুত এবং চেষ্টা করবো আমাদের শতভাগ দিতে।’